এক সময় কোন এক দেশে এক বদমেজাজী ছেলে ছিল। তার বাবা তাকে এক ব্যাগ পেরেক হাতে দিয়ে বলে যতবার তার রাগ উঠবে ততবার সে হাতুড়ি দিয়ে দেয়ালে একটি করে পেরেক লাগায়/মারে। প্রথম দিনে ছেলেটি দেওয়ালে ৩৭টি পেরেক ঢুকায়। এরপর তা আস্তে আস্তে তার সংখ্যা কমতে থাকে।
ছেলেটি আবিষ্কার করে যে দেওয়ালে পেরেক আকটানোর চেয়ে বরং তার মেজাজ ধরে রাখার বা রাগ না করাই সহজ। অবশেষে, এমন দিন আসল যেদিন ছেলেটি মোটেও রাগ করেনি। ছেলেটি ব্যাপারটি তার বাবাকে অবগত করতে তার বাবা তাকে বলে সে যেন যেদিন সে তারা মেজাজ নিয়ন্ত্রন বা ধরে রাখতে সমক্ষম হবে সেদিন একটি একটি করে দেওয়াল থেকে পেরেক বের করে আনে।
সময় গড়িয়ে এমন একদিন আসল যেদিন সে তার বাবাকে বলে যে তোলার জন্য আর কোনো পেরেক অবশিষ্ট নেই। সেদিন তার বাবা ছেলের হাত ধরে তাকে দেওয়ালে কাছে নিয়ে গেলেন। তিনি বললেন, “বাবা, তুমি অনেক ভাল করেছ, কিন্তু দেওয়ালে ক্ষত/গর্তগুলির দিকে একটু তাকিয়ে দেখ।
এই দেওয়ালটি কখনও আর আগের অবস্থায় ফিরে আসবেনা। আর তুমি যখন রাগের মাথায় কিছু বলে ফেল তখন দেওয়ালের ক্ষতগুলির মতো ক্ষত চিহ্ন রেখে যাওয়/ সৃষ্টি করো।
তুমি কারো গলায় ছুরি রেখে পিছু হটতে পারো, তবে তুমি কতবার তাকে তোমার আচরণের জন্য দুঃখিত বলছ তা কোনো ব্যাপার না, তুমি একটা ক্ষত রেখে গেলে, ক্ষতটি তার কাছে এখনও জীন্ত।”
মোরাল: রাগ/গীবত যতেই যুক্তিযুক্ত হক না কেন তা শুধু আমাদের স্বত্বার ক্ষতি করে তা নয়, বরং অন্যের জীবনে এক অস্বাস্থ্যকর ক্ষত রেখে যায়।