কৌতুহল বশত ইন্টারন্যাট পর্ণ-আসক্তির উপর ৮-৯ মাসব্যাপী এক অনুসন্ধানের সময় আমাকে অসংখ্য গবেষণা ও বই পড়তে হয়েছে। যার মধ্যে নিউরোপ্লাস্টিসিটির উপর লিখা টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনঃচিকিৎসক ও মনঃসমীক্ষক প্রফেসর NORMAN DOIDGE এর বহুল আলোচিত The Brain That Changes Itself বইটি পড়ে আমি রীতি মতো অবাক হয়েছি মানুষের ব্যক্তিগত কাহিনী আর মস্তিষ্কের অশ্চর্য সব ক্ষমতার ব্যাপারে জেনে।
আমার পড়া কয়েকটি শক্তিশালী গবেষণাধর্মী বইয়ের মধ্যে The Brain That Changes Itself নিঃসন্দেহে একটি। বইটি আমার এত ভাল লেগেছে আর মস্তিষ্কের ব্যাপারে আমার সব ধারনা এমন আমূল পরিবর্তন সাধন করতে সমর্থ হয়েছে যে, আজ আমি তা বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য অনুবাদ করতে শক্তিশালী ইচ্ছা পোষণ করছি।
বইটির অনুবাদ আমার ওয়েবসাইটে দেওয়ার পাশাপাশি তা পূর্ণাঙ্গ একটি অনুবাদগ্রন্থ হিসেবে প্রকাশ করার চিন্তা-ভাবনা করছি।
এখানে পড়ার পাশাপাশি আপনি চাইলে বইটির জন্যও অপেক্ষা করতে পারেন।The Brain That Changes Itself এর অনুবাদের অংশ হিসেবে বইটির ভূমিকা ইংরেজি থেকে বাংলায় আজ প্রকাশ করা হল। পরবর্তী অংশ, যা অধ্যায় ১, অনুবাদের পর প্রকাশ করা হবে খুব শীঘ্রই।
“মুখবন্ধ,
মানুষের মস্তিষ্ক যে নিজেকে পরিবর্তন করতে পারে সেই বিপ্লবী আবিষ্কার সম্পর্কে এই বইটি, যা বিজ্ঞানী, ডাক্তার এবং অসুস্থ মানুষ, ও অসুস্থরা যারা একসাথে এই আশ্চর্যজনক পরিবর্তন সাধিত করেছে তাদের কাহিনীর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। কোন ধরনের অস্ত্রোপচার বা প্রতিষেধক ছাড়াই তারা মস্তিষ্কের পূর্বে অজানা পরিবর্তন ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়েছে।
ধারনা করা হতো এমন কিছু রোগী ছিল যাদের মস্তিষ্কের সমস্যা ছিল অনিরাময়যোগ্য; আবার আর কেউ কেউ এমনও ছিল যাদের কোন সুনির্দিষ্ট সমস্যা ছিল না তবে যারা তাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতার উন্নয়ন ঘটানোর বা বৃদ্ধ বয়সে মস্তিষ্কের সংরক্ষণে প্রচেষ্টা করেছিলেন। চারশো বছর ধরে এই উদ্যোগটি অবোধ্য রয়ে যায়, কারণ মূলধারার চিকিৎসা এবং বিজ্ঞান ধরেই নিয়েছিল যে মানুষের মস্তিষ্কের গঠনতন্ত্র অপরিবর্তনীয়।
মানুষের সাধারণ ধারণা ছিল যে বাল্য-বয়সের পর কেবল এর ক্ষয়-প্রক্রিয়ার শুরুতেই মস্তিষ্কের পরিবর্তন ঘটেছে; যখন মস্তিষ্ক কোষের যথাযথ বিকাশে ব্যর্থ হয়েছে বা কোন ধরনের ক্ষত হয়েছে, বা মৃত্যু হয় তাদের স্থানান্তর অসম্ভব। মস্তিষ্ক কখনো এর অবকাঠামো পরিবর্তন করতে পারে না ও এর ক্ষয়-ক্ষতির দরুন মস্তিষ্ক কার্যক্রমের জন্য নতুন উপায় খুঁজে বের করতে অক্ষম। অপরিবর্তনশীল মস্তিষ্কের তত্ত্ব নির্দেশ করে যে, যে সব লোক মস্তিষ্কের বা মানসিক সীমাবদ্ধতায় জন্মগ্রহণ করেছে, বা কোন ধরণের আঘাতে পর্যবসিত হয়েছে তারা সারা জীবনের জন্য সীমাবদ্ধ বা ক্ষতিগ্রস্তই রয়ে যাবে।
যে সব বিজ্ঞানীরা কর্মকাণ্ড বা মানসিক অনুশীলনের মাধ্যমে সুস্থ মস্তিষ্কের উন্নতি সাধন আর বা সংরক্ষণ করা যেতে পারে কিনা চিন্তা করেছিলেন তাদেররকে সময় নষ্ট না করার আহ্বান করা হয়েছে, যা একটি নিউরোলজিকল বা স্নায়ু-তাত্ত্বিক নিহিলিজম বা প্রচলিত বিশ্বাস-ধারনার প্রত্যাখ্যান বা নাস্তিবাদ- এমন এক ধারণা যে অনেক মস্তিষ্ক সমস্যার চিকিৎসা অকার্যকর বা এমনকি এক অনাহুত হস্তক্ষেপ- যা একটি প্রতিষ্ঠিত ধারনা, আর তা আমাদের সংস্কৃতিতে ছড়িয়ে পড়েছে, ও এমনকি মানব প্রকৃতি সম্পর্কে আমাদের সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাহত করছে। যেহেতু মস্তিষ্ক পরিবর্তিত হতে পারে না, তাই এ থেকে আবির্ভূত মানব প্রকৃতিকেও ধারণা করে নেওয়া হয় অবধারিতভাবে নির্ধারিত ও অপরিবর্তনীয়।
মস্তিষ্ক যে পরিবর্তন হতে পারে না সে ধারনার তিনটি প্রধান উৎস রয়েছে: বিষয় যেমন, মস্তিষ্কে আঘাত জনিত রোগীরা খুব কদাচিৎ পূর্ণ নিরাময় লাভ করতে পারে; জীবন্ত বা কার্যকর মস্তিষ্কের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম কার্যাবলী পর্যবেক্ষণে আমাদের অসমর্থতা; ও ধারণা যেমন-আধুনিক বিজ্ঞানের সূচনা লগ্ন থেকেই- মস্তিষ্ক হল এক বিখ্যাত মেশিন বা যন্ত্রের মতো। আর মেশিন বা যন্ত্র যখন বিভিন্ন অসাধারণ কার্যক্রম সম্পাদন করে, তখন এর পরিবর্তন বা উন্নতি হয় না।
একজন মনঃচিকিৎসক ও মনোবিশ্লেষক হিসেবে আমাদের কাজের কারণে আমি মস্তিষ্কের পরিবর্তন-ধারনা বিষয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি। যখন রোগীরা মনস্তাত্ত্বিকভাবে যতটা উন্নতি করা দরকার তা করতে পারতো না, তখন প্রথাগত মেডিকেল জ্ঞানে ধরে নেওয়া হতো যে তাদরে মস্তিষ্কের সমস্যা সমূহ অপরিবর্তনীয় মস্তিষ্কে গভীরভাবে “hardwired”। “Hardwiring” হল আরেকটি মেশিন সংক্রান্ত রূপক যার আগমন হয় মস্তিষ্কের ধারণা থেকে, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার যেমন স্থায়ীভাবে সংযুক্ত সার্কিটের মাধ্যমে প্রত্যেকে নির্দিষ্ট, অপরিবর্তনীয় কোন কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য সজ্জিত।
আমি যখনই প্রথম খবরটি শুনি যে মানুষের মস্তিষ্ক hardwired নয়, তখন আমাকে তা অনুসন্ধান করতে হল এবং নিজেই তার প্রমাণ নির্ণয় করি। এই অনুসন্ধান আমাকে আমার পরামর্শ কক্ষ থেকে বহু দুরে নিয়ে গেছে।
আমি অনেক ভ্রমণ করতে শুরু করি, আর এই প্রক্রিয়ায় আমি একদল দীপ্তিময় বিজ্ঞানীর সাথে সাক্ষাত করি, মস্তিষ্ক চৌহদ্দিয় যারা ১৯৬০ এর শেষার্ধে ও ১৯৭০ এর সূচনা লগ্নে বহু অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্ভাবনীর কারণ হয়ে উঠে।
তারা দেখান যে ভিন্ন প্রতিটি সম্পাদিত কার্যক্রমের মাধ্যমে মস্তিষ্ক তার একান্ত কাঠামোর পরিবর্তন করেছে, এর সার্কিটকে পরিপূর্ণ করেছে যাতে করে তা হাতের নাগালের কাজের সাথে অধিকতর ভালভাবে উপযোগী হয়েছে। কোন “parts” বা অংশ যখন ব্যর্থ হয়, তখন অন্যান্য অংশ অনেক সময় নিয়ন্ত্রণে নিতে পারে। মস্তিষ্কের বিশেষায়িত অংশের একটি অঙ্গ হিসেবে মস্তিষ্কের সেই যন্ত্র রূপক বা machine metaphor বিজ্ঞানীদের পোষণ করা পরিবর্তনের ব্যাখ্যা করতে পারেনি।
তারা মস্তিষ্কের পরিবর্তনশীল এই মৌলিক উপাদানকে neuroplasticity বলে থাকে। আমাদের মস্তিষ্কের ও স্নায়ুতন্ত্রের নার্ভের নিউরন এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে Neuro । পরিবর্তনশীলতা, নমনীয়তা, পরিবর্তনীয়তার জন্য Plastic। প্রথমার্ধে বিজ্ঞানীরা তাদের প্রকাশনায় neuroplasticity শব্দটি ব্যবহারে সাহস করেনি, তাদের সহকর্মীরা কাল্পনিক এক ধারনা প্রচারের জন্য তাদের ছোট করেও দেখেছে। তবুও তারা অনড় থাকে, আর ক্রমান্বয়ে সেই অপরিবর্তনশীল মস্তিষ্কের মতবাদকে নস্যাৎ করে ফেলে।
তারা প্রমাণ করে যে মানসিক সক্ষমতা নিয়ে জন্মগ্রহণ করা শিশুরা সর্বদা তাতে আকটে থাকে না; ক্ষতিগ্রস্ত মস্তিষ্ক অনেক সময় নিজেকে পুনঃ-সংঘটিত করে যাতে কোন অংশ ব্যর্থ হলে অন্য অংশ তার বিকল্প হিসেবে কাজ করতে পারে; যদি মস্তিষ্ক কোষ মারা যায় তাহলে তা সময়ে প্রতিস্থাপিত হয়; অনেক “circuits” এমন কি মৌলিক reflex বা প্রতিবর্তী ক্রিয়া যাকে আমরা hardwired মনে করি তা আসলে hardwired নয়। এমন কি এই বিজ্ঞানীদের একজন প্রদর্শন করেন যে চিন্তা-ভাবনা, শিক্ষা, ও অভিনয় আমাদের জীনকে সক্রিয় বা নিষ্ক্রিয় করতে পারে, যা আমাদের মস্তিষ্ক কাঠামো এবং আচরণে রূপদান করে—যা নিঃসন্দেহে বিংশ শতাব্দীর বিস্ময়কর আবিষ্কারগুলির একটি।
আমার যাত্রায় আমি এমন একজন বিজ্ঞানীর সাথে সাক্ষাৎ করেছি যিনি জন্ম থেকে দৃষ্টিহীন থাকলেও দেখতে শুরু করেন, আবার আরেকজন যিনি বধিরতাকে দুর করে কানে শুনতে শুরু করেন; আমি এমন লোকের সাথে কথা বলেছি দশক আগে যাদের স্ট্রোক হয়েছিল এবং যাদেরকে ঘোষণা করা হয়েছিল অনিরাময়যোগ্য neuroplastic চিকিৎসা তাদের নিরাময়ে সাহায্য করে; আমার সাক্ষাৎ হয়েছে learning disorders ছিল এমন লোকের সাথে যারা কেবল তা থেকে নিরাময় লাভ করেন নি, বরং IQ বা বুদ্ধিমত্তার মাত্রাও বৃদ্ধি করতে সমর্থ হয়েছে; আমি প্রমাণ দেখেছি যে পঞ্চান্ন বছর বয়সের মতোই আশি বছর বয়সের লোকের জন্য স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করা সম্ভব।
অপরিবর্তনশীল মস্তিষ্ক সম্পর্কে আমাদের চলমান ধারণার পুনর্বিবেচনার প্রয়োজনীয়তার পক্ষে যারা উদ্বিপ্তভাবে বিতর্ক করে আসছিল সেসব নোবেল পুরষ্কার বিজয়ীদের সাথে আমি কথা বলেছি।
চিন্তা-ভাবনা আর কার্যক্রমের মাধ্যমে যে মস্তিষ্ক তার কাঠামো ও কার্যক্ষমতা পরিবর্তন করতে পারে সে ধারনাই হল, আমি বিশ্বাস করি, মস্তিষ্কের মৌলিক কাঠামো এবং এর মৌলিক উপাদান নিউরনের কার্যক্রম সম্পর্কে আমাদের রূপরেখা তৈরি থেকে এটি মস্তিষ্ক সম্পর্কে আমাদের ধারণার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। আর সব বিপ্লবের মতো, এটিও আমাদের গভীরভাবে প্রভাবিত করবে, আর আমি আশা করি এই বইটি তাদের কয়েকটি বিপ্লবের বিষয়ে প্রকাশ করবে। এই neuroplastic বা নিউরোপ্লাস্টিক বিপ্লব, অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে, প্রেম, যৌনতা, শোক, সম্পর্ক, শিক্ষা, আসক্তি, সংস্কৃতি, প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাৎপর্যপূর্ণ, এবং মনরোগ চিকিৎসা আমাদের মস্তিষ্ক পরিবর্তন করে।
সমস্ত মানবিকতা, সমাজ-বিজ্ঞান, আর শারীরিক বিজ্ঞান, যতদূর তা মানুষের প্রকৃতির সাথে সমঝোতা করে, সবই প্রভাবিত, প্রভাবিত সকল ধরনের প্রশিক্ষণ। স্বীয়-পরিবর্তনীয় মস্তিষ্কের সত্যতা আর এক ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তির মস্তিষ্কের নির্মাণ কাঠামোর ভিন্নতা ও আমাদের ব্যক্তিগত জীবন-যাপনে যে এর পরিবর্তন হয় তা অনুধাবনের সাথে শিক্ষার এই সকল শাখাকে সমঝোতায় আসতে হবে।
মানব-মস্তিষ্ক যখন দৃশ্যত অবমূল্যায়িত , তখন neuroplasticity বা মস্তিষ্কের নমনীয়তা কোন সুখর বিষয় নয়; কারণ তা কেবলই আমাদের মস্তিষ্ককে অধিকতর উৎপাদনশীল করে তোলে না, বরং তা বাহ্যিক প্রভাবের প্রবণতাও বাড়িয়ে তোলে। অধিকতর নমনীয় এবং অনমনীয় আচরণ উৎপাদনের ক্ষমতা রয়েছে—এই ঘটনাকে আমি “the plastic paradox” বা “নমনীয়তা স্ববিরোধী” বলে থাকি। হাস্যকর হলেও সত্যি যে, আমাদের অধিকাংশ একগুঁয়ে অভ্যাস আর ব্যাধি কিন্তু সেই মস্তিষ্ক নমনীয়তার plasticity’র ফসল।
মস্তিষ্কে যখন কোন নির্দিষ্ট plastic পরিবর্তন ঘটে এবং তা শক্তপোক্ত-ভাবে নির্ধারিত হয়ে যায়, তখন তা অন্যান্য পরিবর্তনের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে। মস্তিষ্ক নমনীয়তার ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় দিক অনুধাবনের মাধ্যমেই আমরা সত্যিকার অর্থে মানব-সম্ভাবনার পরিধি বুঝতে পারবো।
যারা নতুন কিছু করে তাদের কাছে নতুন এক শব্দের উপকারীতার কারণে, পরিবর্তনীয় মস্তিষ্কের এই নতুন বিজ্ঞানের অনুশীলনকারীদের আমি neuroplasticians বা নিউরো প্লাস্টিসিয়ান বলি। পরবর্তীতে যা আসছে তা হল তাদের আমার রোগীদের মুখোমুখি হওয়ার তাদের পরিবর্তনের কাহিনী”।
The Brain That Changes Itself বইটি একটি neuroplasticity উপর করা গবেষণাধর্মী বই, মস্তিষ্ক সম্পর্কে আপনার চিরাচরিত ধারনাকে পাল্টে দিতে সক্ষম ”।
The Brain That Changes Itself বইটিতে নিম্নোক্ত অধ্যায় সমূহ রয়েছে:
১. এক মহিলার অনবরত পতন: আমাদের মস্তিষ্কের প্লাস্টিসিটি আবিষ্কারকের সহায়তায় উদ্ধারকৃত
২. অধিকতর উন্নত মস্তিষ্ক গঠন: মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত আখ্যা দেওয়া এক মহিলা যে নিজেকে সুস্থ করা উপায় আবিষ্কার করেন
৩. মস্তিষ্কের পুণঃসজ্জিতকরণ : এক বিজ্ঞানী চৈতন্য ও স্মৃতি তীক্ষ্ণ করেতে, চিন্তার গতি বৃদ্ধি করতে, এবং জ্ঞানার্জন সমস্যা নিরাময়ে মস্তিষ্কের পরিবর্তন ঘটান।
৪. আস্বাদন ও ভালোবাসা অর্জন : যৌন আকর্ষণ আর ভালবাসা সম্পর্কে নিউরোপ্লাস্টিসিটি আমাদের যা শিক্ষা দেয়
৫. মধ্যরাতের পুনরুত্থান : স্ট্রোক আক্রান্ত ব্যক্তিরা চলাচল করতে ও কথা বলতে শেখেন
৬. মস্তিষ্ক তালা খোলা: উদ্বিগ্নতা, ঘোর, কামনা, ও মন্দ অভ্যাস বন্ধে নিউরোপ্লাস্টিসিটির ব্যবহার
৭. যন্ত্র : প্লাস্টিসিটির মন্দ দিক
৮. কল্পনা: চিন্তা কিভাবে কল্পনা তৈরি করে
৯. প্রেতাত্মাকে আমাদের পূর্বপুরুষে পরিবর্তন: মনোবিশ্লেষণ একটি নিউরোপ্লাস্টিক চিকিৎসা
১০. পুনরুজ্জীবন: নিউরোনাল স্টেম সেলের আবিষ্কার ও আমাদের মস্তিষ্ককে সংরক্ষণের উপদেশ
১১. তার অংশের সমষ্টির চেয়ে অধিক: এক প্রমাণ করে আমাদের মস্তিষ্ক কতটা আমূল নমনীয় হতে পারে
যারা মানব প্রকৃতি ও মস্তিষ্কের প্রকৃত রূপ ও কাঠামোর ব্যাপারে জানতে আগ্রহী তাদের জন্যে The Brain That Changes Itself বইটি এক অনন্য বিপ্লবের সৃষ্টি নিঃসন্দেহে।